Posts

টেনেট (২০২০)

Image
        আচ্ছা, ডিম আগে না মুরগি আগে কি বলা সম্ভব? বা ধরুন, কেউ কি তার অতীতে গিয়ে নিজের বাবা বা মায়ের জন্মের আগে দাদু কে মেরে আসতে পারে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া হয়তো সম্ভব নয়। কারণ, এগুলো এক একটা প্যারাডক্স। অর্থাত্‍ 'আপাত বিরোধী হইলেও সত্য' এক ঘটনা প্রবাহ। এবং সময়ের এই লুপ নিয়ে তৈরি বহু সিনেমা আমরা আগেও দেখেছি। সেদিক থেকে ক্রিস্টোফার নোলানের টেনেট আলাদা কিছু নয়। টেনেটেও বার বার এই কথাটাই উঠে এসেছে।  নায়ক জিজ্ঞেস করেন, "তোমার কী মনে হয়?"  "হোয়াট'স হ্যাপেনড  হ্যাপেনড" উত্তর দেয় নীল, ওরফে, রবার্ট প্যাটিনসন।  সবই প্রিডেস্টাইনড। কিছুই পাল্টানো যায়না।        টেনেট নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই আমাদের গল্পটার বিষয়ে একটু জেনে নিতে হবে। গল্পের শুরুতে...নাহ্, গল্পের শুরু বলে কিছু নেই... সিনেমার শুরুতেই দেখানো হয় আমাদের নায়ক  (জন ডেভিড ওয়াশিংটন)   , একজন সিআইএ এজেন্ট, তার কিছু সঙ্গীসাথীর  সাথে একটা এক্সট্র্যাক্সন মিশনে গেছেন কীইভ অপেরা হাউসে। তার দলবল লক্ষ্য অনুযায়ী একটা বিশেষ জিনিস উদ্ধার করে (আর্টিফ্যাক্ট), কিন্তু সে নিজে ধরা পড়ে যায় এবং সুইসাইড পিল খেয়ে নেয়।

এক্স=প্রেম (২০২২)

Image
             ৭/১০     এক্স=প্রেম  সৃজিত মুখার্জির আঠারোতম বাংলা ছবি। অটোগ্রাফ থেকে কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত পরিচালক নানারকম ছবি করেছেন। কিন্তু এই ছবিটি সেগুলির থেকে অনেকটাই আলাদা। কেন আলাদা সেই প্রসঙ্গে পরে আসছি।        এটি একটা সাই-ফাই-রোম্যান্টিক থ্রিলার ঘরানার ছবি। ছবিটি জিম ক্যারি ও কেট উইন্সলেট অভিনীত ইটার্নাল সানসাইন অফ দ্য স্পটলেস মাইন্ড ছবিটি থেকে অনুপ্রাণিত। যেখানে ইটার্নাল সানসাইনের গল্পে মানুষের স্মৃতি মুছে ফেলা যায় এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার দেখানো হয়েছে, সেখানে এক্স=প্রেম আরও এক কাঠি উন্নত প্রযুক্তির কথা বলে। গল্পের অন্যতম মূল চরিত্র খিলাত একটি দুর্ঘটনায় তার শেষ দশ বছরের (১৮-২৮ বছর বয়সের) স্মৃতি হারালে একজন ডাক্তার/বিজ্ঞানী তাকে স্মৃতি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেয়। অর্থাত্‍ অন্য একজনের স্মৃতি তার মস্তিষ্ক থেকে বের করে নিয়ে খিলাতের মস্তিষ্কে প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দেয়। ছবির গল্প শুরু হয় ঠিক এখান থেকেই। খিলাত প্রশ্ন করে, "ইজ দিস ইল্লিগাল?"  এরপর আস্তে আস্তে আমরা ডাক্তার/বিজ্ঞানীর সাথে খিলাতের কথোপকথনে প্রবেশ করি। ফ্ল্যাশব্যাকে আমাদের দেখানো হয় জয়ী এ